৩রা শ্রাবণ, ১৪১৮ বঙ্গাব্দে (১৮ই জুলাই, ২০১১ খ্রীস্টাব্দ) সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসারে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বাকশিল্পাঙ্গনের যাত্রা আরম্ভ হয়। তবে এ কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এইক্ষণে নতুন প্রতিষ্ঠানের যাত্রা আরম্ভ হলেও যাত্রীদলের সকলেরই শিল্পের এই চত্ত্বরে বিচরণ বহুবছরের। দলের গতিশীলতা সৃষ্টির জন্য সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার দলের সকল সদস্য মিলিত হয়ে অনুশীলন করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে দলটি যেন নবমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে চলতে আরম্ভ করে। একে একে ভাষা শিক্ষা ও উচ্চারণ পাঠক্রমের আবর্তন সম্পন্ন হতে থাকে। এর মধ্যদিয়ে সংগঠন কিছু নতুন প্রশিক্ষিত কর্মী পায়। দলের ভিতরে আবৃত্তি চর্চার পাশাপাশি ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মে দিবস সহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও অপরাপর বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে বাকশল্পাঙ্গন নিজের বিশিষ্টতা প্রমাণ করে। ইত্যবসরে বাকশিল্পাঙ্গনের আবৃত্তি প্রযোজনাসমূহ শিল্পরসিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের ভাবনার যোগান দেয়। নিয়মিত চর্চার মধ্য দিয়ে বাকশিল্পাঙ্গন তার উৎকর্ষতার ছাপ রাখতে চায় শিল্পে-জীবনে।
বাকশিল্পাঙ্গন মনে করে অকৃপণ ত্যাগ ও অকুণ্ঠ চেষ্টার মধ্য দিয়ে তারা যে জগৎ তৈরী করে চলেছে তা একটা ধারাবাহিকতার অংশ। তার দ্রষ্টা - ওয়াহিদুল হক, নরেন বিশ্বাস। তাঁরাই বাকশিল্পাঙ্গনের প্রধান পুরুষ - আর সবাই অনুগামী মাত্র।